বদলে যাও, বদলে দাও এবং মাদক বিরোধী আন্দোলনের নামে সারাদেশ চষে বেড়িয়েছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। মাদকের বিরুদ্ধে বলেছেন সতর্কতার কথা, মাদক নির্মূলের কথা। অথচ তার একমাত্র ছেলে মাহমুদুর রহমান শাসা মাদকে আসক্ত। মাদকের নীল ছোবলে উন্মাতাল জীবনে অভ্যস্থ শাসার বেপরোয়া চলাফেরায় ভীষণ বিরক্ত ও বিব্রত প্রথম আলোর সম্পাদক।
এদিকে ছেলেকে মাদকের হাত থেকে বাঁচাতে অ্যানেক্স কমিউনিকেশন লিমিটেড নামক বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে দিয়েছিলেন মতিউর রহমান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অ্যানেক্সের সাবেক একজন কর্মকর্তা জানান, অ্যানেক্স তৈরি করে দিয়ে মতিউর তখন বলেছিলেন, বিজ্ঞাপনী সংস্থা তৈরি করে দিয়েছি। এবার প্রথম আলোকে ব্যবহার করে আয় করো। মদ মাস্তি বাদ দিয়ে ইনকাম করা শুরু করো। তোমার নেশা করার কথা সবাই জানে। তোমার অপকর্মের কারণে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারি না। আমি প্রথম আলো দিয়ে আর তুমি প্রথম আলোর নাম ভাঙ্গিয়ে অ্যানেক্স দিয়ে আমার মতো সম্পদের মালিক হও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার মালিক বলেন, শাসা অ্যানেক্সের মাধ্যমে রীতিমতো মাস্তানি শুরু করেন। বড় বড় ইভেন্টগুলো ধরছেন। শাসার ভয়ে অনেকেই অ্যানেক্সকে কাজ দিতে বাধ্য হচ্ছে। ব্যবসায়িক কারণে মনোমালিন্য হলেই শাসা প্রথম আলোর ভয় দেখান।
জানা গেছে, প্রথম আলোর প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে শাসা দেশের অনেক বড় বড় ইভেন্টের কাজ পেয়েছেন। প্রথম আলোর অনেক বিজ্ঞাপনই অ্যানেক্সের মাধ্যমে আসা। এভাবে মতিউর রহমান তার ছেলের মাধ্যমে ‘গাছেরও খাই তলারও কুড়াই’ পদ্ধতিতে কোটি টাকা কামিয়ে নিলেও ছেলের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একেবারেই অখুশি।
মতিউর রহমানের ঘনিষ্ট এক বন্ধুর মারফত জানা গেছে, শাসার বন্ধু-বান্ধবদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত। মতিউর রহমান এসব সম্পর্কে অবগত। অথচ কিছুই করতে পারছেন না মতিউর রহমান। ছেলের কারণে হতাশ হয়ে প্রায়ই বন্ধুদের সামনে হাউমাউ করে কান্না করেন মতিউর রহমান।
জানা যায়, মতিউর রহমান ছেলে শাসার বেসামাল ও বেহিসেবি জীবন যাপনে অতিষ্ঠ। সন্তানকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা-তদবির করে প্রতিবারই ব্যর্থ হন তিনি। সর্বশেষ বিদেশে ব্যয়বহুল মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও সুফল পাননি।