মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ছোট মেয়েটার কষ্ট দূর করে দিলেন। আমাদের একটা ঘর দিলেন। আমার চিকিৎসা করাবেন। এতকিছু পামু তা কল্পনাও করি নাই। আল্লাহ্ প্রধানমন্ত্রীরে মেলা দিন বাঁচায়ে রাখুক, আমি সেই দোয়াই করি।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপরোক্ত কথাগুলো বলছিলেন জামালপুরের সদর উপজেলার দরিদ্র রিকশাভ্যান চালক শফিকুল। যিনি বছর পাঁচেক আগে জামালপুর শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তার এক পা ভেঙে ফেলেন।
এতে সবকিছু বিক্রি করে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েন শফিকুল। তাদের সংসারে দুই মেয়ের মধ্যে শম্পার বড়বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। স্ত্রী নেবুজা বেগম ও শম্পাকে নিয়ে খুবই দুর্বিষহ জীবন যাপন করছিলেন শফিকুল।
এই পরিস্থিতিতে সংসার চালানোর খরচ ছাড়াও বাবার ওষুধ কেনার টাকা রোজগারের জন্য বাবার পেশায় হাল ধরে চতুর্থ শের্ণী পড়ুয়া শম্পা।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হলে তা নজরে আসে প্রধানমন্ত্রীর। আর তখনই পরিবারটির দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন শেখ হাসিনা।
২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে শম্পাদের বাড়ি ছুটে যান স্থানীয় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।
পরে শিশুটির বাবার চিকিৎসা, পাকাঘর নির্মাণ, লেখাপড়া ও পরিবারের আয়ের উৎসসহ পুনর্বাসনের সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান ওই জেলা প্রশাসক।