বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এতে প্রভাব বিস্তার করতে ঢাকাকে প্রভাবিত কারার চেষ্টা করছে চীন। গণমাধ্যমের এমন খবর নিয়ে দিল্লির উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা।
উইওন নিউজের খবরে বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বেইজিং নিয়ে দিল্লির উদ্বেগও উড়িয়ে দেন তিনি।
দুই দেশের সৈন্যদের রক্তের বিনিময়ে ঐতিহাসিক বন্ধন গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এই বন্ধন অবিচ্ছেদ্য, অন্য কোনো সম্পর্কের সঙ্গে তুলনা হয় না।
এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বর্ণাঢ্য আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। এতে অংশ নিতে আগামী মার্চে ঢাকায় আসার কথা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
এমন প্রেক্ষাপটে চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার হওয়ার বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, এ সম্পর্ক নিয়ে ভারত ও অন্যদের বেশ আগ্রহ রয়েছে।
বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)
সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সম্পৃক্ততা বাংলাদেশকে ‘কিছুটা লভ্যাংশ’ দিয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামোগতসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে সহায়তা করছে।
এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ঋণের ঝুঁকি (ডেবট্ ট্র্যাপ) নেই দাবি করে তিনি আরো বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি যথেষ্ট মজবুত। আমরা কী করছি, তা ঠিকমতোই জানি।
সম্প্রতি ভারতীয়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের মোকাবেলায় প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে চীন। এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানের পর বাংলাদেশে নজর দিয়েছে দেশটি। বিভিন্ন প্রকল্পে বিপুল বিনিয়োগের মাধ্যমে বেইজিং প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করা হয় খবরে।