করোনাকালে দেশের বেকার তরুণদের অনলাইন প্রশিক্ষণের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে বেকার তরুণ তরুণীদের ঘরে বসেই বিভিন্ন কাজের দক্ষ করে গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার।
বেকারদের দক্ষতা বাড়াতে কম্পিউটার বেসিক অ্যান্ড আইসিটি অ্যাপ্লিকেশন, প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন, মডার্ন অফিস ম্যানেজমেন্ট ,গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি পালন, চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষ ও বিপণন, ফুল চাষ, মাশরুম ও মৌচাষ, টুরিস্ট গাইড, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন, বিউটিফিকেশন ও হেয়ারিংসহ ৪০ ধরনের কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণ শেষে মিলবে অনলাইনে আন্তর্জাতিক মানের সনদপত্রও। যেখানে নামমাত্র মূল্য দিয়ে এ সুবিধা নিতে পারবেন আগ্রহীরা।
দেশে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো থেকে প্রতিবছর গড়ে সাড়ে তিন লাখ যুবনারী প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। ১৮-৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত যুবগোষ্ঠী ধরা হয়। এ হিসাবে প্রতিবছর নতুন করে যুবসমাজে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ২০-২২ লাখ। বর্তমানে দেশে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ যুবনারী রয়েছেন।
এ প্রশিক্ষণ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট ফোন কোম্পানিগুলো একেবারে স্বল্পমূল্যের বিশেষ ডেটা প্যাকেজও চালু করবে। যাতে যে কেউ সহজেই অনলাইনে এ ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে পারে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন প্ল্যাটফরমে প্রশিক্ষণ দিলে আরো অংশগ্রহণ বাড়বে। বর্তমানে সরাসরি তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে তবে অনলাইনে এর সংখ্যা ৩০ লাখে পৌঁছাবে। ফলে কর্মসংস্থান খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
এ ছাড়া অনেকে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে যেমন নিজের বেকারত্ব ঘোচাবে, তেমনি আরও অনেকের কাজের ব্যবস্থা করতে পারবে।