স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে উগ্র মৌলবাদী ও কিছু সরকারবিরোধীরা মিলে দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেছে গত কয়েকদিন ধরে। তবে এই হরতাল এবং পুলিশের সঙ্গে সহিংসতার মধ্যে একটি বিষয় পরিস্কার যে এই কর্মসূচি শুধুমাত্র হেফাজত নয় নেপথ্যে সরকারবিরোধী সকল দলের কর্মীদের অংশগ্রহণ ছিলো।
একটা বিষয় বিশেষ করে লক্ষ্যণীয় সেটা হচ্ছে ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের নেতৃত্বে সহিংস কর্মকাণ্ডে শিবির কর্মীদের উপস্থিতি। নূরের সঙ্গে শিবিরের একটা নিবিড় যোগসাজস রয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূর সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ নামের যে সংগঠনের নেতৃত্বে দেন সেখানে শিবিরের একটা বড় ধরনের অংশগ্রহণ রয়েছে। আর এর বড় উদাহরণ হচ্ছে কয়েকদিন আগে ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতায় কর্মসূচি দিয়েছিলো নূর। সেখানে এক পুলিশ সদস্যকে মারধরের ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় কয়েকজন মিলে এক পুলিশ সদস্যকে পেটাচ্ছে। যদিও পরে বিভিন্ন গণমাধ্যম হামলাকারী ওই ব্যক্তিদের ছবিসহ পরিচয় প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে হামলাকারীদের অধিকাংশই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির কর্মী এবং এরা নূরের দেয়া কর্মসূচিতে যোগ দিতে কয়েকদিন আগেই ঢাকায় এসেছে। তার মানে একটা বিষয় পরিস্কার যে নূরের কাঁধে ভর করেছে শিবির।
একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূর তার বক্তব্যে মাঝে মাঝেই বলে থাকেন যে এই সরকার হটাতে হলে কঠোর আন্দোলন করতে হবে, সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করার জন্য মাঠে নামতে হবে। আর নূরের এই বক্তব্যে কিন্তু আন্দোলন, সংগ্রাম এবং সহিংসতার বার্তা রয়েছে। বাংলাদেশে যেকোনো আন্দোলনকে সহিংস রূপ দিতে শিবিরের থেকে দক্ষ কাউকে পাওয়া কঠিন।
এজন্য উদ্দেশ্যগত কারণে নূর এখন শিবির কর্মীদের দিয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার নতুন কৌশল নিয়েছে। অন্যদিকে শিবিরের যেহেতু এখন কোনো রাজনৈতিক প্লাটফর্ম নেই তাই তারা নূরের ব্যানার ব্যবহার করে সহিংসতা করার সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়া এদের দুই পক্ষেরই যেহেতু সরকার পতন মূল লক্ষ্য এবং দুই পক্ষেরই ভাষা ও কর্মকাণ্ড উগ্র তাই নেপথ্যে তাদের মধ্যে এক রাজনৈতিক মিত্রতা চলছে বলে মনে করছেন অনেকে।
সূত্র: বাংলা ইনসাইডার