নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল, ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি-আইএমইআই ও ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার-এনইআইআর প্রকল্প প্রায় চূড়ান্ত।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর জন্য ফ্রান্সের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটার হাউসকুপার্সকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বর্তমানে কি ধরনের স্যাটেলাইট প্রয়োজন তা সাজেস্ট করবে।
বাংলাদেশ যেহেতু বর্তমানে কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে এজন্য কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে সরকারের চাওয়া ওয়েদার বা ওবজারভেটরি স্যাটেলাইট।
সাবমেরিন ক্যাবল-৩ (সি-মি-উই-৬) কনসোর্টিয়ামে যোগ দিলে বাংলাদেশ পাবে ১২ টেরাবাইট (টেরাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ।
এক্ষেত্রে ৬ টিবিপিএস থাকবে সিঙ্গাপুরে এবং বাকি ৬ টিবিপিএস থাকবে ফ্রান্সে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল-৩ এ সংযুক্ত হতে পারলে কোনোপ্রকার ব্যান্ডউইথের ঘাটতি থাকবে না।
বিদ্যমান বিভিন্ন ক্যাবেলের সুবিধা নিয়ে উদ্বৃত্ত পরিমাণ ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।
এছাড়া আইএমইআই-এনইআইআর ডাটাবেজ তৈরির কাজ শেষ। এ পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি আইএমইআই নম্বর ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
পর্যয়াক্রমে দেশের সব মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর এতে সংরক্ষণ করা হবে। ফলে মোবাইল ফোন চুরি, ছিনতাই এবং মোবাইল ফোন কেন্দ্রিক অপরাধ কমবে। চুরি হওয়া সেট চালু হবে না বা ছিনতাই হলে সেট লক করে দেওয়ারও সুযোগ থাকবে।
এছাড়া এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে ফোনটি বৈধ বা অবৈধ তা যাচাই করা যাবে। এর ফলে চ্যানেল প্রোডাক্ট দেশে প্রবেশ করবে। গ্রে মার্কেটে (অবৈধ পথে) পণ্য প্রবেশ কমবে।